শনিবার ভোররাতে আফগানিস্তানের কুনার ও খোস্ত প্রদেশে হামলাগুলো চালানো হয় বলে জানিয়েছেন তারা।
খোস্ত প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক পরিচালক শাবির আহমদ ওসমানি রোববার জানান, হামলায় শিশুসহ বেসামরিক নিহত এবং আরও ২২ জন আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় দু’দেশের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে বলে ভাষ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
গত বছর তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত উত্তেজনার একটি উৎস হয়ে উঠেছে। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের অভিযোগ, তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে অবস্থান নিয়ে থাকা জঙ্গিরা নতুন উদ্যমে পাকিস্তানে হামলা শুরু করেছে। অপরদিকে কোনো জঙ্গিকে আশ্রয় দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন আফগানিস্তানের কর্মকর্তারা।
বেশ কয়েক বছর ধরেই সীমান্তের অপর পাশ থেকে ছোড়া পাকিস্তানি গোলায় আফগানিস্তানে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে, কিন্তু শনিবারের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা, সহিংসতা ও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সামরিক শক্তি ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ার ইঙ্গিত।
এ হামলার পরপরই এর নিন্দা জানায় তালেবান কর্মকর্তারা। পাকিস্তানের সামরিক বিমান হামলাটি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, “খোস্ত ও কুনারে শরণার্থীদের ওপর পাকিস্তানের হামলার তীব্র নিন্দা জানায় আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত (আইইএ) । এ ধরনের ইস্যুতে আফগানদের ধৈর্য পরীক্ষা না নেওয়ার এবং একই ভুলের পুনরাবৃত্তি না করার জন্য আইইএ পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, অন্যথায় পরিণতি খারাপ হবে।
দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সামধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার তালেবান কর্তৃপক্ষ ওই হামলার বিষয়ে তাদের অসন্তোষ জানাতে কাবুলে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এবং ইসলামাবাদকে দেওয়ার জন্য একটি কূটনৈতিক বার্তা প্রদান করে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বিমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। বিমান হামলার খবরের বিষয়টি উল্লেখ করা হলে তারা বলেন, সীমান্তের অপর পাশের আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানি বাহিনীগুলোর ওপর হামলা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জঙ্গিদের হাত থেকে সীমান্ত এলাকাগুলো সুরক্ষিত করতে তারা তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।