রমজানের মধ্যেই কারাবন্দি আলেমদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন দেশের খ্যাতনামা আলেমরা। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তারা বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বহুসংখ্যক আলেম কারাগারে বন্দি রয়েছেন। ইতোপূর্বে এতো আলেমকে একসঙ্গে কখনও জেলে পাঠানো হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। এই আলেমদের অনেকে আছেন, যারা কোনওভাবে কোনও ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
বিবৃতিটি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীসহ দেশের আলেমদের একটি দল। এতে বলা হয়, বিশেষ একজন কারাবন্দি আলেমকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে, যে কোনও মূল্যে মামলার রায় ঘোষণা করে কারাবন্দি করে রাখার এবং নানা রকম মামলা দিয়ে রায় ঘোষণার পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। একদিকে পরিবারের সঙ্গে কোনও ধরনের যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না, অপরদিকে দ্রুত রায় ঘোষণা করে তাকে সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে কোণঠাসা করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকে আছেন বয়োজ্যেষ্ঠ। দীর্ঘ কারাবাসের কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এছাড়া কারাবন্দি আলেমদের প্রতিটি পরিবার চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের সন্তানদের মুখের দিকে তাকালে আমরা স্থির থাকতে পারি না। কারা আইন মোতাবেক একজন বন্দির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের বিধান থাকলেও আলেমদের ক্ষেত্রে সে সুযোগটি যথাযথভাবে দেওয়া হচ্ছে না। এটাকে আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ছাড়া কি বলা যেতে পারে? এতে কি মানবাধিকারের লঙ্ঘন হচ্ছে না? তাহলে অতি উৎসাহী হয়ে কারা এসব করছে, তা সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে খতিয়ে দেখতে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে আসন্ন রমজানের মধ্যেই মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা মামুনুল হক, মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীনসহ গ্রেফতারকৃত সব আলেমদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া বাবুনগর মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, জামিয়া ইসলামীয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাহমুদুল হাসান, জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া মহাপরিচালক আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, আব্দুল হামিদ (মধুপুর পীর), মাওলানা আহমাদ দিদার কাসেমী, মাওলানা জিয়াউদ্দীন আব্দুর রহমান হাফেজ্জী প্রমুখ।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।