কোম্পানীগঞ্জের কলেজছাত্রী শাহনাজ পারভিন প্রিয়তা (২২) খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ছয় দিন পর পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে আসামি অটোরিকশাচালক রুবেলকে। সে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মকবুল আহাম্মদের ছেলে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ ও খুনের কথা স্বীকার করেছে রুবেল।
শুক্রবার নোয়াখালীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা এ তথ্য জানান।
আরো খবর পড়ুন : ৬ দিনের সফরে আমিরাত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রুবেল পলাতক ছিল। এরপর পার্শ্ববর্তী সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চররশিদ গ্রামে অভিযান চালিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে শুক্রবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানিয়েছে সে। ছাত্রীর গলার নিচে রুবেলের নখের আঁচড়ের দাগ দেখা যায়। সে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে নিয়ে তার খারাপ চিন্তা ছিল।
২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে হাসপাতাল থেকে নানার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওই ছাত্রী রুবেলের অটোরিকশায় ওঠে। তবে রুবেল সোজা পথে না গিয়ে ভিন্ন রাস্তা দিয়ে যাওয়া শুরু করলে প্রিয়তা প্রতিবাদ জানান। এক পর্যায়ে সে রিকশা থেকে নেমে ক্ষেতের মধ্য দিয়ে হাঁটা শুরু করলে রুবেল পেছন থেকে তাকে মারধর ও মুখ চেপে ধরে। পরে তাকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার পর ব্যবহূত মোবাইল ফোনটি নিয়ে চলে যায়। পথিমধ্যে জামাইয়ের টেক মোড়ের মসজিদের পাশে মোবাইলের সিম কার্ড খুলে ভেঙে ফেলে দেয় রুবেল। পরে তার তথ্যানুযায়ী, প্রিয়তার মোবাইল ফোন ও ভাঙা দুটি সিম কার্ড এবং অটোরিকশাটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা কোম্পানীগঞ্জ থানায় গত মঙ্গলবার মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে সোমবার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ধানক্ষেত থেকে ওই ছাত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বসুরহাট মডার্ন হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করছিলেন। কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আশ্রাফপুর গ্রামের ফেঞ্জু মিয়া বাড়ির নুররুবীর মেয়ে তিনি।