রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। এরপর দেশটিতে স্থল, নৌ ও আকাশপথে সর্বাত্মক হামলা শুরু করেছেন রুশ সেনারা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের কোনো দেশে এত বড় হামলা এই প্রথম। ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলার মুখে ইউক্রেনের বড় শহরগুলো থেকে এরই মধ্যে প্রায় ১ লাখ মানুষ পালিয়েছেন। জেলেনস্কি বলেন, রুশ সেনাদের হামলায় প্রথম দিন তাঁর দেশের ১৩৭ জন সেনাসদস্য ও বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার লক্ষ্য হচ্ছে কিয়েভ দখল ও দেশটির সরকারকে উৎখাত করা। পুতিন এই সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের পুতুল সরকার মনে করে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে ৯০ কিলোমিটার উত্তরে চেরনোবিলে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন রুশ সেনারা। এর ফলে বেলারুশ থেকেও রাশিয়ার সেনারা সীমান্তের সংক্ষিপ্ত পথ ধরে ইউক্রেনের ভেতরে ঢুকে পড়েন।
পুতিনের দাবি, ইউক্রেনে ‘গণহত্যার’ শিকার হওয়া থেকে রুশ নাগরিকসহ সাধারণ মানুষকে রক্ষায় রাশিয়া ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন একটি অবৈধ রাষ্ট্র; যার ভূমি ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়ার। তবে পশ্চিমারা বলছেন, পুতিনের দাবি ভিত্তিহীন।
এদিকে জেলেনস্কির নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে কি না, প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সিবিএসকে বলেন, ‘আমার জানামতে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এখনো ইউক্রেনে নিজ পদে বহাল আছেন। অবশ্যই আমরা ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারাসহ অন্য বন্ধুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’
রাশিয়ার প্রধম টার্গেট আমি: জেলেনস্কি