ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘সরকার সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা করেছে। কেউ টিকা নেবে, কেউ নেবে না, তা হবে না। সবাইকে টিকার আওতায় আসতে হবে। টিকা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
তাই ডিএনসিসি এলাকার যেসব বাসিন্দারা অন্তত একডোজ টিকাও নেবে না ১ মার্চ থেকে তাদের সেবা প্রদান বন্ধ করে দেবে ডিএনসিসি।
আজ বৃস্পতিবার সকালে রাজধানীর গুলশান-২ ডিএনসিসি মার্কেটের সামনে কভিড-১৯ গণটিকাদান কর্মসূচি ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার, টিকা হবে সবার। এ সময় মেয়র নগরবাসীকে টিকা গ্রহণ করে নিজেকে, পরিবারকে ও শহরকে সুরক্ষিত রাখার আহ্বান করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘ট্রেড লাইন্সেস প্রাপ্তি এবং নবায়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই টিকা সনদ দেখাতে হবে। অন্যান্য সেবা পেতেও টিকা সনদের আবশ্যকতার বিষয়টি উল্লেখ করেন।
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশ ও দশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং কভিডমুক্ত ঢাকা গড়তে সকলের জন্য টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাদের জন্ম সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারাও ডিএনসিসির আওতাধীন ৫৪ টি ওয়ার্ডে স্থাপিত টিকা কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহণ করতে পারবে। ১৮ বছরের নিচে যারা রয়েছে তাদের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে আলাদা বুথের ব্যবস্থা থাকবে।
রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যারা ডিএনসিসির বুথ থেকে টিকা গ্রহণ করবেন তাদেরকেও তাৎক্ষণিকভাবে টিকা সনদ প্রদান করা হবে বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘টিকা গ্রহণ করতে কোনো টাকা লাগে না। কভিড প্রতিরোধক টিকা ১২ বছর ঊর্ধ্ব সকল নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। সবার উচিত এই সুযোগে টিকা নিয়ে নেওয়া। এটা সবার জন্যই মঙ্গলজনক।
গণটিকা কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে পরবর্তীতে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রাটি গুলশান-২ হতে শুরু করে গুলশান-১ এর সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে তিতুমির কলেজ প্রাঙ্গন হয়ে মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা থেকে বাউল শিল্পীদের মনোজ্ঞ পরিবেশনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রায় ডিএনসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ডিএনসিসি কর্তৃক আয়োজিত এই শোভাযাত্রায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কভিড-১৯ টিকাবিষয়ক কমিটির সভাপতি মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা অংশগ্রহণ করেন।
ডিএনসিসির নিয়ন্ত্রণাধীন ৫টি নগর মাতৃসদনে এখন পর্যন্ত মোট ১২ লাখ ৬০ হাজারজনকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া গণটিকার আওতায় ২ লাখ ২৯ হাজার ৬২৩ জনকে টিকা প্রদান করা হয়েছে।
উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডে ৫৪টি টিকা কেন্দ্র রয়েছে এতে বুথ রয়েছে ৪৮৬টি। এ ছাড়া জরুরি বিবেচনায় ৪টি কমিউনিটিতে চারটি কেন্দ্র চালু করা হয়।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।