ঘটনাস্থলে এখনো পড়ে আছে আছে জায়নামাজ, টুপি, তছবি আর চশমা। তবে অক্ষত রয়েছে মসজিদের পবিত্র কোরআন শরীফগুলো। শুধু নেই মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মানুষগুলো।
নারায়ণগঞ্জের বায়তুস সালাত মসজিদের কোণায় কোণায় এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আগুনের তাণ্ডবের চিহ্ন। কতটা ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের সম্মুখীন হয়েছিলেন নামাজে থাকা মুসল্লিরা, বলে দিচ্ছে পুড়ে যাওয়া জায়নামাজ, ভাঙ্গা কাঁচ, মসজিদের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন আসবাবপত্র। তবে ধ্বংসযজ্ঞের মাঝেও অক্ষত রয়ে গেছে পবিত্র কোরআন।
এলাকার লোকজনের দাবি গ্যাস লাইনে ত্রুটির কথা জানানো হয়েছিলো কর্তৃপক্ষকে। তারা ঠিক করতে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছে। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে কোনো অভিযোগ না পাওয়ার দাবি করেছেন তিতাসের এমডি।
তিতাস গ্যাস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আল-মামুন জানান, সময় সংবাদের সরাসরি সম্প্রচার দেখেই মূলত মসজিদের ভেতর গ্যাস থাকতে পারে এমন ধারণা করছি আমরা। আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি, তদন্ত হচ্ছে গ্যাস লাইনের লিকেজ ছিল কিনা।
তিনি আরো বলেন, তবে মসজিদ কমিটি থেকে লিকেজ সংস্কারের কোনো অভিযোগ পায়নি তিতাস কর্তৃপক্ষ। তদন্তে কারো অবহেলা গাফিলতি পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অনুসন্ধানে আসেন ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি। আশা করেন দ্রুতই ঘটনার কারণ জানাতে পারবেন তারা।
ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক বলেন, ‘এই বিস্ফোরণ এসি থেকে নয়। তখন বিদ্যৎই ছিল না। সুতরাং বিদ্যৎ না থাকলে বিস্ফোরণ সম্ভব ছিল না এসি থেকে। আমরা দ্রুত কারণ বের করার চেষ্টা করছি।’
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।