‘বিদ্রোহী’ হিসেবে নির্বাচন করা ১৫ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে অস্বস্তিতে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাদেরকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
পাশাপাশি দলীয় শৃংখলাভঙ্গের অভিযোগে তাদেরকে সাধারণ সদস্য থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ হয়েছে বলে ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন, সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নে শরীফুল ইসলাম, মো. আব্দুল হামিদ, মো. মনিরুজ্জামান, নাটাই উত্তর ইউনিয়নে আমির হোসেন, কাজী মোবারক হোসেন, হালিম শাহ্, তালশহর পূর্বে আল-আমীন, এনামুল হক, বাসুদেব ইউনিয়নে নেসার উদ্দিন শের শাহ্, হাকিম মোল্লা, সাদেকপুর ইউনিয়নে মো. সাইদুজ্জামান, রামরাইলে মশিউর রহমান, শাহীন ভূঁইয়া, সুলতানপুরে শেখ মো. মহসীন ও সুধীর চন্দ্র ঘোঘ। বহিষ্কৃতরা সবাই আওয়ামী লীগের পদধারী। এর বাইরেও আরো অন্তত ১০ জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। তবে দলে তাদের কোনো পদ নেই।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় বিদ্রোহী প্রার্থীকে নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে। তবে বহিষ্কারের কারণে তাদের পক্ষে আওয়ামী লীগের কেউ কাজ করবে বলে সেই অস্বস্তি কেটে যাবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দলে যাদের পদবী রয়েছে শুধুমাত্র তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৬১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের ২৫ জন বিদ্রোহী প্রার্থী। বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। আগামী ৫ জানুয়ারি ওই ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
অনেক বিদ্রোহী থাকায় নির্বাচনের মাঠে অস্বস্তিতে পড়ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও নির্বাচন থেকে সরে না আসায় পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদ্রোহীদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।