কষ্টার্জিত জয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল ব্রাজিল। শেষ আটের লড়াইয়ে চিলিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সেলেসাওদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন লুকাস পাকুয়েতা। সেমিফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ পেরু।
রিও ডি জেনোরির সান্তোস স্টেডিয়াম। চেনা মাঠ চেনা পরিবেশে ফেভারিট ব্রাজিল। ম্যাচটা কোয়ার্টার ফাইনাল- এক কথায় ‘ডু অর ডাই’ তারপরও চিলির বিপক্ষে ছন্দহীন সেলেসাওরা। পুরো ম্যাচে নেইমারদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে ভারগাস-ভিদাল-সানচেজরা। ৫৯ শতাংশ বল পায়ে রেখে অন টার্গেটে শট তাদের ১১টি। বিপরীতে ৪১ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলমুখে ১০টি শট নিয়ে স্বাগতিকরা পোষ্টে রাখতে পেরেছে ৫টি।
গেল ম্যাচে নেইমার- ক্যাসিমিরোরা বিশ্রামে থাকলেও, এদিন চিলির বিপক্ষে আট পরিবর্তন এনে তাদের ফেরান কোচ তিতে। যেখানে চিলির একাদশে ফিরেন ভেগাস-সানচেসরা। যদিও দু’দলের শুরুর লড়াইটা ছিল সাবধানী। তবে নিজেদের গুছিয়ে নিতে কিছুটা সময় নেয় ব্রাজিল। এক পর্যায়ে বলের দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণদুর্গে আক্রমণ রচনা করে রিচার্লিসন-জেসুস-নেইমাররা।
২২ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পান রবার্তো ফিরমিনো। নেইমারের ক্রস থেকে লিভারপুল ফরোয়ার্ড পা ছোঁয়াতে পারলে হয়তো লিড নিতে পারতো ব্রাজিল। ৫ মিনিট পর কাউন্টার অ্যাটাক থেকে এদেরসনকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন ভারগাস। আধিপত্য ধরে রেখে আক্রমণ রচনা করেও জালের ঠিকানা খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয় নেইমারদের। ফলে প্রথমার্ধ থাকে গোলশূন্য।
বিরতির পর গোল পেতে মরিয়া ব্রাজিল। মুহুর্মুহু আক্রমণে চিলিয়ান ডিফেন্ডারদের নাস্তানাবুদ করে তোলে তিতের শিষ্যরা। অবশেষে ম্যাচের ৪৬ মিনিটে ডেডলক ভাঙ্গে ব্রাজিলিয়ানরা। ফিরমিনোর বদলী হিসেবে মাঠে নামা লুকাস পাকুয়েতার দারুন গোলে লিড নেয় সেলেসাওরা।
তবে ২ মিনিট পরই চিলির ইউজেনিও মেনাকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ১০ জনের দলে পরিণত হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
৬২ মিনিটে অবশ্য বল জালে জড়ায় চিলি। কিন্তু অফসাইডের জন্য তা বাতিল হয়ে যায়। বাকি সময়ে ব্রাজিলের জমাট রক্ষণে বাঁধা পড়ে চিলিয়ানরা। শেষ পর্যন্ত তারা সমতায় ফিরতে না পারলে কষ্টার্জিত জয়ে সেমিতে পা রাখে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।