কোভিড অতিমারির মধ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠি যেন তাদের জীবন-জীবিকা সচল রাখতে পারে, আগামী বাজেটে সেই বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন,‘ আমাদের আগামী বাজেট হবে দেশের গরীব মানুষকে সুরক্ষা দেয়ার বাজেট। দরিদ্র জনগোষ্ঠি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। একইসাথে আমরা সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা সচল রাখার বিষয়ে গুরুত্ব দেব।’ বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়ক ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির বৈঠকশেষে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে কামাল বলেন, এবছর ৩৩ লাখ ৩৯ হাজার পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এককালীন দুই হাজার ৫০০ টাকার ঈদ উপহার সুবিধাভোগিদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হবে না। সুবিধাভোগীদের কাছে নগদ টাকা সরাসরি পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কোন সমস্যা যেন তৈরি না হয়, এজন্য গতবছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যারা প্রধানমন্ত্রীর নগদ টাকার ঈদ উপহারের সুবিধাভোগি তারা সবাই প্রযুক্তি ব্যবহার উপযোগি নন। একারণে অনেকক্ষেত্রে টাকা পেতে বেশি সময় লাগবে, তবে সেটা কিন্তু বড় সমস্যা নয়। সুবিধাভোগিরা যেন সরাসরি নগদ অর্থ পায়, সেটা নিশ্চিত করতে আমরা নিরলস কাজ করছি।’ তিনি জানান, যে পদ্ধতিতে টাকা পাঠানো হবে, সেই পদ্ধতিটা আরও উন্নত করার পাশাপাশি সবাই যদি তালিকাভূক্ত থাকেন, তাহলে কম সময়ে সবার কাছে টাকা পাঠিয়ে দেয়া যাবে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, নগদ অর্থ সহায়তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। যাতে স্বল্পতম সময়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠি নগদ টাকা পেয়ে যায়। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর, রিকশাচালকসহ মোট ৩৩ লাখ ৩৯ হাজার দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে ৮৩৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা দেয়া হবে। প্রত্যেক পরিবার প্রতি পাবেন নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা।
করোনার কারণে দারিদ্রসীমার নিচে নেমে যাওয়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদেরকে গরিব থেকে বের করে নিয়ে আসাই আমাদের লক্ষ্য। তাদের সুরক্ষায় আগামী বাজেটে সর্বোচ্চ অগাধিকার দেয়া হবে।’
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।