ধর্মের ভিত্তিতে কোনো রাষ্ট্র হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ শুক্রবার প্রয়াত সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল সি আর দত্ত বীর উত্তমের স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো ধর্মই উগ্রবাদ সমর্থন করে না এবং সব ধর্মই মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ববোধ, মমত্ববোধ ও মানুষের প্রতি মানুষের দয়ার শিক্ষা দেয়। তাই ধর্মের ভিত্তিতে কোনো রাষ্ট্র হতে পারে না এবং এই চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত হতে দেয়া যাবে না। কারণ অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশ রচিত হয়েছে।
কোনো ধর্মই উগ্রবাদ সমর্থন করে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই দেশ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক তখনই তাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা মানে বাংলাদেশকে গলাটিপে হত্যা। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানো সেই মৌলবাদী অপশক্তিই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনার বিসর্জন হয় এবং রাষ্ট্রও পেছন দিকে হাঁটা শুরু করে।
মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিনাশ হয়নি। এ কারণেই তারা মাঝেমধ্যে ফণা তোলে ছোবল মারার চেষ্টা করে। যেই সম্মিলিত শক্তির মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই শক্তির কাছে অপশক্তি সবসময় পরাজিত হয়েছে। তারা ভবিষ্যতেও পরাজিত হবে। তাদের কোনোভাবেই মাথা তোলার কিংবা ছোবল মারার সুযোগ দেয়া হবে না।
আওয়ামী লীগ নিজেদের বাঙালি হিসেবে প্রথম পরিচয় দেয় জানিয়ে তিনি বলেন, এরপর আসে ধর্ম। কে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ কিংবা খ্রিস্টান। কিন্তু বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল ধর্মীয় পরিচয়টা বড় করে দেখে এবং এরপর বাঙালি না বাংলাদেশি সেই দ্বন্দ্বে যায়। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পার্থক্য এখানেই।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বিরোধীরা মাঝেমধ্যে গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক হানাহানি সৃষ্টির অপচেষ্টা করতে চায়। কিন্তু সরকার সেটি কঠোর হস্তে দমন করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। শেখ হাসিনা খুব ধার্মিক এবং অসাম্প্রদায়িকও।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।