গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইল বোমা হামলা শুরু করার পর তার পরিবার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানেই বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ইসরাইলি বোমা হামলায় তাদের প্রাণ যায়। খবর আল জাজিরার।
পরিবারের নিহত সদস্যদের মধ্যে আল শরাফির বাবা মাহমুদ এবং মা আমিনা, তার ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী, বোন এবং তার স্বামীর পাশাপাশি ভাগ্নে ও ভাগ্নিও রয়েছেন।
আল শরাফি আল জাজিরাকে বলেছেন, হামলার সময় একটি বিস্ফোরক ব্যারেল বাড়িটিতে আঘাত করে এবং এর ফলে মাটিতে গভীর গর্ত তৈরি হয়।
তিনি আরও বলেন, সিভিল ডিফেন্স ক্রুদের কেউ মৃতদেহের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। এমনকি আমরা আমাদের প্রিয়জনদের শেষ বিদায়ও দিতে পারিনি। তাদেরকে যথাযথভাবে কবর দেয়া থেকেও আমরা বঞ্চিত হয়েছি।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলায় গাজায় আল জাজিরার আরবির আরেক সংবাদদাতা ওয়ায়েল দাহদুহ তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে হারিয়েছিলেন। এছাড়া গত ৩১ অক্টোবর জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলায় আল জাজিরা ব্যুরোর সম্প্রচার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু আল-কুমসানও তার বাবা ও দুই বোনসহ পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারিয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলের হামলায় গাজায় ১৬ হাজার ২৪৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৪৩ হাজারেরও বেশি মানুষ।