সকাল ভালো তো সারা দিন ভালো। তাই ঘুম থেকেই উঠেই এমন কিছু করবেন না, যাতে পুরো দিন নষ্ট হয়। কী করলে সারা দিন আপনি ফুরফুরে মেজাজে থাকবেন।
১. সকালে ওঠার জন্য অ্যালার্ম দিলে কখনোই স্নুজ বাটন দিয়ে রাখবেন না। এতে একটু পরপর অ্যালার্ম বাজবে আর আপনি বারবার বন্ধ করে আবার ঘুমাবেন। এতে আপনার ঘুম পরিপূর্ণ হবে না।
২. ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই পা সোজা করে, হাত টানটান করে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন। এরপর উঠে বসুন। এতে সারা দিন আপনি বেশ সতেজ থাকবেন। আর যদি বিড়ালের মতো ভাঁজ হয়ে ঘুম থেকে ওঠেন, তাহলে সারা দিন আপনার ক্লান্ত লাগবে এবং ঘুম পাবে।
৩. ঘুম ভেঙেই ফোনে ই-মেইল বা মেসেজ দেখবেন না। এতে আপনার মস্তিষ্কের ওপর চাপ পরবে। আর খারাপ কোনো মেসেজ থাকলে পুরো দিনটাই খারাপ যাবে।
৪. ঘুম থেকে উঠে বিছানা অগোছালো অবস্থায় রেখে যাবেন না। চট করেই বিছানাটা গুছিয়ে ফেলুন। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় পরিষ্কার রুম দেখলে মনটা অনেক ফুরফুরে থাকবে।
৫. ঘুম থেকে উঠেই সবার আগে চা একদম নয়। রাতে খাবার পর দীর্ঘক্ষণ না খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর অ্যাসিডিক হয়ে থাকে। ফলে দুধ-চিনি দেয়া চা বা কফি আমাদের শরীরকে আরও অ্যাসিডিক করে তোলে। তার বদলে বেশ খানিকটা পানি, লাইম জুস খেতে পারেন।
অনেকে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে জিমে দৌড়ান, যা একেবারেই করা উচিৎ না।
৬. ঘরে এমনভাবে আলোর ব্যবস্থা করবেন যেন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অন্ধকার না থাকে। ঘুম ভেঙে অন্ধকার দেখলে দ্বিধায় ভুগবেন এবং প্রচণ্ড ঘুম পাবে। তাই প্রাকৃতিক আলো প্রবেশ করতে পারবে, এমনভাবে ঘর সাজান।
৭.ফিটনেস এক্সপার্টদের মতে, সকালে উঠে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ রেখে চুপ করে থাকুন। বেশ কয়েকটি ডিপ ব্রিথ (লম্বা শ্বাস) নিন। ঘরের উষ্ণতায় রাখা পানি পান করুন। তারপর কাজ শুরু করুন।
৮.ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের মাংসপেশী, বিশেষত মেরুদণ্ড একটু স্টিফ হয়ে থাকে। ফলে উঠে বসার আগে একটু স্ট্রেচ না করলে এই স্টিফনেস সারা দিন থাকতে পারে। তাই বিছানায় শোয়া অবস্থায় ৩-৪ বার একটু হাল্কা স্ট্রেচ করে তার পর উঠুন।
৯.ব্রেকফাস্ট না করার যদি অভ্যাস থাকে তো এখনই পাল্টে ফেলুন। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্রেকফাস্ট যারা করেন না তারা স্থুলতা, ডায়াবেটিক এবং অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্ট করলে শরীর একেবারে চাঙ্গা থাকবে। কয়েকটি ভেজানো কাঠবাদাম, রুটি-তরকারি বা ফল ইত্যাদি খেতে পারেন।
১০.কোনো কারণে সকাল সকাল মেজাজ খারাপ হলেও নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। অনেকের স্বভাব থাকে সকালে খুব বেশি আওয়াজে গান চালানোর। এটাও ত্যাগ করুন। সঙ্গীত অবশ্যই ভালো। তবে সব সঙ্গীত নয়। সকালে উঠে পাখির ডাক শুনুন, হালকা রাগ সঙ্গীতও খুব উপকারী।
১১.অনেকে মনে করেন, সকাল সকাল এক কাপ কড়া কালো কফি খেলে চাঙ্গা হয়ে উঠবেন। কিন্তু, খালি পেটে ধূমপান বা কড়া কফি আপনার শরীরকে পুষ্টি থেকে কয়েক যোজন দূরে সরিয়ে দেবে। ফলে খালি পেটে আগে পানি খান।
১২.সকাল বেলা যদি আপনার ভালো যায় তাহলে সারাদিনটাই ভালোভাবে কাটার সম্ভাবনা থাকে। তবে ভালো থাকাটা নির্ভর করছে একান্ত আপনার ওপর। নিজে সুস্থ রাখার জন্য নিজেকে কিছু জিনিস মেনে চলতেই হবে, নয়তো ক্ষতি আপনার নিজেরই হবে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।