স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক জানান, জনগণের স্বাস্থ্য সেবার নামে কোনো ব্যবসা চলবে না, জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলবে তা হতে দেব না। এছাড়া জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কাউকে ব্যবসাও করতে দেয়া হবে না। এ জন্য ইতোমধ্যে প্রায় দু’হাজার হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যে কোনো স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠান, যারা সেবা দিয়ে থাকে তারা যদি সঠিক নিয়মে সেবা না দেয় তাহলে আমরা তাদের কাজ করতে দেব না। আমাদের সরকারি কিছু নিয়মনীতি আছে। স্বাস্থ্যসেবার কোনো প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সবিহীন পরিচালনা করা যাবে না। আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
ইতোমধ্যে সারাদেশে প্রায় দু’হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয়া হয়। তারা যদি লাইসেন্স নবায়ন করে তাদের যদি সঠিক যন্ত্রপাতি-জনবল থাকে তাহলে তাদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে।
ইতোমধ্যে যারা শর্ত পূরণ করেছে তাদের আবার পরিচালনা করার সুযোগ দেয়া হয়। শর্ত পূরণ না হলে দেয়া হবে না।
কাগজে-কলমে বন্ধ থাকলেও বাস্তবে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক চলছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেটা দেখব। যেগুলো সঠিক যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকার কারণে বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো যদি আবারো পূরণ না করে থাকে তাহলে বন্ধ করে দেয়া হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। সেখানে জনবলের কিছু সঙ্কট দেখেন। আউটসোর্সিং ও নিয়োগের মাধ্যমে জনবলের ঘাটতি পূরণ করার জন্য বলেন। হাসপাতালটিতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগী থাকেন। সে জন্য ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
রাজশাহী সদর হাসপাতাল দীর্ঘ দিন ধরেই বন্ধ। এখন সেখানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের কার্যক্রম চলে। করোনার সময় হাসপাতালটি চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। শুরু হয় সংস্কার কাজও। যাবতীয় প্রস্তুতি থাকা স্বত্ত্বেও হাসপাতালটি চালু হয়নি।
এ হাসপাতালের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সদর হাসপাতালটি আমরা চালু করতে চাই। এখানে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হবে। পাশাপাশি ডেন্টাল ইউনিটেরও কার্যক্রম থাকবে। কিভাবে কি করা যায় সে বিষয়ে কথা বলতেই এসেছি। এখন সবার সাথে মতবিনিময় করব।
সূত্র : ইউএনবি
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।