সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ববিবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি সংবাদ সম্মেলনে গত ১৪ দিনে সারাদেশে দলের নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের দমনপীড়নের চিত্র তুলে ধরেন।
বিএনপির মহাসচিব এই কথা বলেন, ‘নিরপেক্ষ একটা তত্ত্বাধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে।
আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচি চলতেই থাকবে। ১০ তারিখ পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি আছে সারা দেশে। এরপর আবার নতুন কর্মসূচি জানাবো আপনাদেরকে। এই আন্দোলন চলবে চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত। ’
বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম গঠন করে আন্দোলনকে বেগবান করার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ চলমান বলেও জানান তিনি। ফখরুল বলেন, আমরা আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে এটাকে চূড়ান্ত করে আমরা জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।
৯ দিনে সরকারের দমনে সারাদেশে তিনজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। একই সময়ে বিএনপির ২ হাজারের অধিক নেতাকর্মী আহত এবং দুই শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে দাবি তার।
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার যদি অশুভ ততপরতা বন্ধ না করে তাহলে জনগণের ঐক্যের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা ক্রমান্বয়ে গণবিস্ফোরণে পরিণত হবে। ’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি সব সময় আপনাদের বলি, আওয়ামী লীগের বডি কেমেস্ট্রি একটা আছে। যে বডি কেমেস্ট্রিতে আছে সেটা হচ্ছে সন্ত্রাস। সন্ত্রাসে তাদের জন্ম, সন্ত্রাস দিয়ে তারা রাজনীতি করে এবং সন্ত্রাস দিয়ে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে। ’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি মাঠে হাজার হাজার মানুষ নিয়ে যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, যে প্রতিবাদ করছে এটাতে তাদের (সরকার) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ’
মিয়ানমার সীমান্তে মটার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আসল কথা হচ্ছে একটা অনির্বাচিত সরকার দিয়ে এসব হয় না। যারা নির্বাচিত না, যাদের পিপলস সাপোর্ট নেই তাদের তো শক্তি থাকে না। এই সরকারের তো কোনো শক্তি নেই। সে টিকে আছে অন্যদের শক্তিতে। যে কারণে তার নিজের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে তার যে ভুমিকা নেওয়া প্রয়োজন সেই ভুমিকা সে নিতে পারে না।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।