
ইলিশের মৌসুম প্রায় শেষ। প্রজনন মৌসুম সামনে রেখে কদিন পরেই ইলিশ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। নিষেধাজ্ঞার পরপরই শেষ হবে ইলিশের মৌসুম। তখন আবার জাটকা ধরার ওপর আট মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।
তবে এখনো দেশের নদ-নদীতে ইলিশ মিলছে না সেভাবে। সাগরে অবশ্য কিছু ইলিশ মিলছে, যার বেশির ভাগই জাটকা। অর্থাৎ বড় ইলিশ তেমন ধরা পড়ছে না। এতে বরিশালসহ দক্ষিণ উপকূলের জেলেরা দুর্দশায় পড়েছেন, ব্যবসায়ীরাও হতাশ। বাজারে দাম বেশি বলে সাধারণ ক্রেতারাও ভীষণ ক্ষুব্ধ।
এদিকে ইলিশের চড়া মূল্যের মধ্যে ভারতে রপ্তানির খবরে পাইকারি বাজারেই কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা দাম বেড়েছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে বরিশাল থেকে আড়াই শ টন ইলিশ ভারতে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনুমতি পেয়েছে স্থানীয় পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। প্রথম দফায় গত বুধবার রাতে বরিশাল থেকে ১৯ টন ও শুক্রবার রাতে আরও ১০ টন ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়েছে।
ভারতে রপ্তানি করা ইলিশের দাম অবশ্য স্থানীয় বাজারের চেয়ে কম। রপ্তানি করা ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম আকারের ইলিশ বরিশালের পোর্ট রোড বাজারে ৫৮ হাজার টাকা মণ বা ১ হাজার ৯০ টাকা (১০ ডলার) কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। একই আকারের ইলিশ স্থানীয় লোকজনকে কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৪৫০ টাকা কেজিতে।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির আগে ১ কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের প্রতি মণ ইলিশের দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৪ হাজার টাকা। রপ্তানি শুরুর পর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা।
আর ৭৫০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতি মণ ইলিশ আগে বিক্রি হতো ৫২ থেকে ৫৪ হাজার টাকা, যা রপ্তানি শুরুর পর বেড়ে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের প্রতি মণের দাম ছিল ৪০ হাজার থেকে ৪৪ হাজার টাকা, যা বেড়ে হয়েছে ৪৮ থেকে ৫৪ হাজার টাকা।