আসামির স্বজনদের সঙ্গে ঘুষ লেনদেন নিয়ে ফোনালাপে লিপ্ত হয়েছিলেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ওসি মো. তৌহিদুজ্জামান। একবার নয়, পাঁচ দফা তাদের মধ্যে এই ফোনালাপ হয়। সেই অডিও ফাঁস হয়ে প্রচারিত হয় গণমাধ্যমেও। এরপর গতকাল রাতে ওসি তৌহিদুজ্জামানকে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ওসি তৌহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, তার তদন্ত করছি আমরা। তবে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
জানা যায়, গত বছরের ১০ এপ্রিল গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানার বাসা থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মাসুদসহ ৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অপর দুই আসামি হচ্ছেন খলিলুর রহমান ও রুমেল হক।
মামলার তদন্তভার অর্পণ করা হয় গাইবান্ধা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার তৎকালীন ওসি মো. তৌহিদুজ্জামানের ওপর। বিচারিক প্রক্রিয়ার শুরুর ওই সময়ে আসামি খলিলুর রহমান ও রুমেল হকের স্বজনের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের একটা চুক্তিতে আসতে চেয়েছিলেন তিনি। অভিযোগপত্র থেকে দুই আসামির নাম বাদ দেয়া এবং আইনের ধারা কমিয়ে দিতে তাদের মধ্যে চুক্তি হয়।