লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আমেনা বেগম বেলভা (৬০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আপন সন্তান রেদওয়ান হোসেন মিলন (২২) নামের এক যুবককে আটক করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।
বুধবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে রামগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের অহেদ আলী পাটোয়ারী বাড়ীর মৃত আকবর আলীর পাকা বসতঘরে। নিহত আমেনা বেগম বেলভো ঐ বাড়ীর মৃত আকবর আলীর স্ত্রী।
ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক এমদাদ।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতের কোন এক সময়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আমেনা বেগম বেলভোর ছোট ছেলে রেদওয়ান হোসেন মিলন দারালো দা দিয়ে মাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ গুম করার জন্য মায়ের লাশ কম্বল মুড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আমেনা বেগম বেলভোর ভাতিজা বোরহান উদ্দিন জানান, পাকা বসতঘরে তারা মা ছেলে দুজনেই ঘরে থাকতেন। মিলনের অন্য দুই ভাই দেশের বাহিরে রয়েছে। রাত প্রায় তিনটার দিকে ঘরের ভিতরে চিৎকার শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ঘরের বাহির থেকে দেখি রুমের ভিতরে আগুন জ্বলছে। খবরটি স্থানীয় গ্রাম পুলিশকে দেয়া হলে রামগঞ্জ থানা পুলিশ ভোর ৫টায় ঘটনাস্থলে যায়।
ভাগিনা মোঃ আনিস জানান, আমরা খবর পেয়ে চাটখিল থেকে ছুটে আসি। তিনি জানান, তার ফুফাতো ভাই রেদওয়ান হোসেন মিলনের সাথে একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সর্ম্পক ছিলো। ঐ সর্ম্পকের জেরে তিনি এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে ধারণা করছেন।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক জানান, স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই এরশাদ হোসেনের পাকা বসতঘরের একটি রুমে আমেনা বেগমের শরীরে আগুন জ্বলছে। এসময় ঘর তল্লাশী করে পাশের আরেকটি রুম থেকে মৃতের ছোট ছেলে রেদওয়ান হোসেন মিলনকে আটক করি। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে তার মাকে দারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর লাশটি কম্বল মুড়িয়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় আমেনা বেগম বেলভোর ভাই টিপু সুলতান বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর হসপিটাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।