প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১২ সেপ্টেম্বর মোট ৮৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) পরিচালক (জনসংযোগ) সাইফুল ইসলাম আজ বাসসকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই দিন সকাল ১০টায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উদ্বোধন করবেন।
তিনি বলেন, পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হল হাবিবগঞ্জের বিবিয়ানা-৩ ৪০০ মেগাওয়াট কম্পাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, চট্টগ্রামের জুলদায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-২, মেঘনাঘাট ১০৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাঘারহাটের মধুমতি ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সিলেটে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২২৫ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উন্নীতকরণ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় সূত্রের মতে, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর সরকার সরকার সফলতার সঙ্গে ১১৯ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে যার উৎপাদন ক্ষমতা ২০,২৯৩ মেগাওয়াট।
এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালের মধ্যে ২৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। কিন্তু এর মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নাসরুল হামিদ বাসসের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এখন ২৫,২৩৫ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে (ক্যাপটিভ বিদ্যুতসহ) যা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র ৪,৯৪২ মেগাওয়াট।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণে আমরা প্রায় ৯৯.৫ শতাংশ জনসংখ্যাকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে পেরেছি।
নাসরুল হামিদ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার গত ১২ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে এই সেক্টরের গুরুত্ব বিবেচনায় অগ্রাধিকার দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের আন্তরিক ও নিরলস প্রচেষ্টায় মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫৬০ কিলোওয়াট-এ পৌঁছেছে, যা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র ২২০ কিলোওয়াট এবং সিস্টেম লস ১৪.৩৩ শতাংশ থেকে ৮.৪৯ শতাংশে নেমে এসেছে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।