গ্রামের এক মেয়েকে মনেপ্রাণে ভালোবাসতেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার প্রেমিক মো. এহছান। কিন্তু এহছানের একতরফা ভালোবাসায় মন গলাতে পারেনি সেই প্রেমিকার। তাই প্রেমিকাকে বশে আনতে ছুটে যান বৈদ্য ফাতেমার কাছে। প্রেমিকাকে বশ করতে এহছানকে ডাবপড়া ও তাবিজ দেন বৈদ্য ফাতেমা বেগম। এভাবে একাধিকবার ফাতেমা বৈদ্যর কাছ থেকে ডাবপড়া ও তাবিজ নিয়ে যান। কিন্তু এসবে কোনো কাজ হয়নি। এহছানের জন্য মন গলেনি সেই মেয়ের।
সোমবার (১২ জুলাই) সকালে আবারও ডাব হাতে এহছান ছুটে আসেন কবিরাজ ফাতেমার কাছে। এরপর পড়ানো ডাব কাটার জন্য ফাতেমাকে একটি দা দিতে বলেন। ফাঁকে এহছান জানিয়ে দেন, আগের তাবিজগুলোতে কিছুই হয়নি, মেয়েটি তার সঙ্গে কথা বলে না। এ সময় ফাতেমা বৈদ্য তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এহছান। প্রেমে ব্যর্থ এহছান এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন ফাতেমা বৈদ্যকে। এ সময় ক্ষিপ্ত এহছানকে থামাতে এগিয়ে আসেন ফাতেমার মেয়ে, বাড়ির গৃহপরিচারিকা ও তার মেয়ে। তাদেরও কোপাতে থাকেন সমানতালে।
গুরুতর জখম চারজনকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। সেখানেই প্রাণ হারান ফাতেমা বৈদ্য। সোমবার সকালে বাঁশখালীর উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের শীলকুপ দাশপাডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, হামলাকারী যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। হামলায় আহতরা হলেন ফাতেমার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস, গৃহপরিচারিকা রাবেয়া বেগম ও তার মেয়ে বৃষ্টি।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবির বলেন, ‘স্থানীয় নামের ওই যুবক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কবিরাজি চিকিৎসায় কাজ না হওয়ায় তিনি ক্ষোভে কুপিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।’
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।