স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভ্যাকসিন ফর ভিক্টরি, ভ্যাকসিন নিলে জয়, ভ্যাকসিনে নেই ভয়। মন্ত্রিপরিষদের ৫ জন সদস্যকে সাথে নিয়ে নিজ শরীরে ভ্যাকসিন গ্রহণ শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাইল করিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আজ একসাথে আনন্দঘন পরিবেশে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিকা দেয়ার পর প্রায় ৩০ মিনিট আমরা সবাই একসাথে বসে কথা বললাম। আমাদের কারো শরীরেই কোনরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। সবাই সুস্থ আছি। কাজেই আজ থেকে দেশব্যাপী যে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করা হলো তাতে দেশের সকল শ্রেণির মানুষই ভ্যাকসিন গ্রহণে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসবে বলে আমরা আশাবাদী। এরপর ভ্যাকসিন নিয়ে কোনরকম মিথ্যা গুজব সৃষ্টি করা হলে সেক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া হবে না।’
মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে দেশব্যাপী ভ্যাকসিন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল মানুষকেই ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা হবে এবং কেউ বঞ্চিত হবে না বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ভ্যাকসিন গ্রহণ সংক্রান্ত সুরক্ষা এ্যাপ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘এ্যাপ একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস। এটি প্রথম প্রথম ব্যবহারে খানিকটা অসুবিধা হতেই পারে। সমস্যাগুলি সমাধানে আইসিটি মন্ত্রণালয় তৎপর রয়েছে। আশা করা যায় খুব দ্রুতই এ্যাপ সংক্রান্ত সব সমস্যা সমাধন হবে। আর ধীরে ধীরে দেশের সকল স্থানের ভ্যাাকসিন কেন্দ্রগুলিতে সুরক্ষা এ্যাপে রেজিষ্ট্রেশন করা না হলেও কেবল ভ্যাকসিন কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েও ভ্যাকসিন গ্রহণ করা যাবে।’
ভ্যাকসিন গ্রহণকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, শেখ হাসিনা বার্ণ ইন্সটিটিউটের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহীউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি ইকবাল আর্সেলান, মহাসচিব এম এ আজিজ এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশন এর সভাপতি মুবিন খান উপস্থিত ছিলেন।
বাসস
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।