নাটকীয়তার মধ্যে দিয়ে অবশেষে পদত্যাগ করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দেশটির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেল্লোর কাছে পদত্যাগপত্র দেন তিনি। এর আগে সকালেই তিনি মন্ত্রীসভায় জানিয়ে দেন পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন।
করোনাকালীন কঠিন সময় ও নির্মম অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থতার জেরেই জুসেপ্পে কন্তে পদত্যাগ করেছেন বলে ধারণা দেশটির সাধারণ মানুষের। তার পদত্যাগে নতুন করে সঙ্কটে ইতালি।
চলতি মাসের প্রথম দিকেই ছোট শরিক দল জোট থেকে নিজেদের সমর্থন তুলে নিলে কন্তে সরকার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়।
গত সপ্তাহে কন্তে সরকার সংসদের নিম্নকক্ষে ৩২১ পক্ষে ও ২৫৯ বিপক্ষে ভোটে জয়ী হন। পরে গুরুত্বপূর্ণ সিনেট সদস্যদের ভোটে পক্ষে ১৫৬ ও বিপক্ষে ১৪০ ভোটে কন্তে সরকার জয়ী হয়। ১৬ জন সিনেট সদস্য ভোটদানে বিরত ছিলেন।
কিন্তু সরকারের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে প্রয়োজন ছিল ১৬১ ভোট। সরকার ১৫৬ ভোটে জয়ী হলেও কোন ধরনের আইন পাস করতে পারবেন না কন্তে সরকার। কারণ আইন প্রণয়ন করতে সিনেটের কমপক্ষে ১৬১ ভোট প্রয়োজন।
সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে গত সপ্তাহের ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে। কিন্তু কোন আইন প্রণয়ন করতে পারবেন না, এমনকি অর্ডারও পাস করতে পারবেন না। এমন বাস্তবতায় জুসেপ্পে কন্তে প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেল্লোর কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিলে গ্রহণ করেন তিনি।
২০১৮ সালে অপ্রত্যাশিতভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইতালিতে ৬৬ বার সরকার পরিবর্তন হয়েছে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।