বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মনে করেন, উপযুক্ত সময়েই বিয়ের মতো পবিত্র ও জরুরি কাজটি সেরে নেয়া উচিত। তাহলেই সমাজ থেকে অসামাজিক ও যৌন সংক্রান্ত অপরাধগুলো দূর হবে।
তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, ‘সময়ের কাজ সময়ে করতে হয়। বিয়ের সম্পর্ক যৌবনের সাথে, ক্যারিয়ারের সাথে নয়। ক্যারিয়ার গড়ার জন্য পড়ে রয়েছে সারা জীবন। মৌলিক এই চাহিদা মেটানোর বৈধ উপায় যেহেতু রুদ্ধ, তাই অবৈধ উপায়গুলো সেই স্থান দখল করে নিবে, এটাই তো স্বাভাবিক। ফলে হারাম রিলেশনশিপ, পর্ণগ্রাফি উপভোগ এবং ধর্ষণের মত জঘন্য ঘটনাও আজ দেশের রুটিন নিউজে পরিণত হয়েছে। তাই, নতুন প্রজন্মকে এই ধ্বংস আর অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে, অভিবাবকদের আরো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে’।
তিনি বলেন, আসুন, আমরা অভিবাবকগণও আরো একটু মানবিকতার চর্চা করি। বৈধভাবে যৌন চাহিদা মেটানোর সুযোগকে, প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের জন্য আরো সহজলভ্য করে তুলি। আমাদের অবহেলায়, আমাদের আদরের সন্তানেরা হারাম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে, অভিভাবক হিসেবে আল্লাহ তা’আলার দরবারে আমরা কোনভাবেই এর দায় এড়াতে পারব না। তাই, আসুন সবাই মিলে— টাইমলি ম্যারেজকে “হ্যা” বলি, আর বিবাহ বহির্ভূত সকল রিলেশনশিপকে “না” বলি। বিয়েকে সহজ করুন, দেখবেন অশ্লীলতার সকল পথ আপনাতেই রুদ্ধ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করেন, আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন: “তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত রয়েছে, তাদেরকে বিয়ে করিয়ে দাও। আর, তোমাদের দাসদাসীদের মধ্যে যারা বিবাহের যোগ্য, তাদেরও বিয়ের ব্যবস্থা করো। যদি তারা গরীব হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ তা’আলা আপন মেহেরবানীতে তাদেরকে ধনী করে দেবেন, আল্লাহ তা’আলা বড়ই প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ।”
(সূরা নুর, আয়াত: ৩২)
এ সম্পর্কে একটি হাদিসের উদ্ধৃতি দেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাস’উদ (রা:) বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) আমাদের উদ্দেশ্যে বললেন:
‘হে যুবক সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ রাখে, তারা যেন বিয়ে করে নেয়। কেননা, বিয়ে তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং চরিত্রকে হেফাজত করে। আর যার বিয়ে করার সামর্থ্য নেই, সে যেন সিয়াম পালন করে; কেননা, সিয়াম তার প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক’।
(সহিহ বুখারি)
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।