জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার অজুহাতে লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকার পরও গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। এ অবস্থায় খাবার খরচ সীমিত করতে বাধ্য হচ্ছেন মধ্য ও নিম্নবিত্তরা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অসাধু সিন্ডিটেক ভাঙতে না পারলে নিয়ন্ত্রণে আসবে না নিত্যপণ্যের বাজার।
পাগলা ঘোড়ার মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো প্রচেষ্টাই যেন কাজে আসছে না। এতে বেড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের দুর্দশা।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের চেয়ে দাম বেড়েছে সব ধরনের সবজির। বেগুন গত সপ্তাহে ৭০- ৮০ টাকা কেজি থাকলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। করলার দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। টমেটো কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া, মাছের দাম প্রকারভেদে কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ১০০ টাকা। বেড়েছে খাসির মাংসের দামও। এ জন্য পরিবহন ব্যয় বাড়ার অজুহাত দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
নিত্যপণ্যের লাগামহীন বাড়তি দামে পরিবারের ব্যয় মেটাতে গিয়ে অসহায় হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে পণ্যের দাম বাড়তেই পারে।তবে এমন অস্বাভাবিকহারে কেন বাড়ছে, তা খতিয়ে দেখা উচিত সরকারের।
অযৌক্তিক দাম বাড়ানোয় জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবিও অর্থনীতিবিদের।
কমতে শুরু করেছে ডিম ও মুরগির দাম। গত সপ্তাহে চেয়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দামও কেজিতে কমেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
এদিকে, রাজধানীর মিরপুরে ডিমের অতিরিক্ত দাম রাখার অভিযোগে দুটি দোকানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ঊর্ধ্বমুখী বাজারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন নিন্ম ও মধ্যবিত্ত শ্রেনীর ক্রেতারা। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন সংস্থা নজরদারি করলেও বাস্তবে তা কোন কাজেই আসছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি দাবি ভোক্তাদের।
https://dainikshomayershangbad.com/
এদিকে, রাজধানীর মতো সারা দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। চাল, ডাল, আটা, সবজিসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের বাজার উর্ধ্বমূখি। বাড়তি টাকায় পণ্য কিনতে গিয়ে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। তবে কমতে শুরু করেছে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম।
ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকেই লাগামহীন দেশের বাজার। যা এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
চট্টগ্রামে দাম বেড়েছে চাল, ডাল, আটা, সবজিসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের। পিছিয়ে নেই মাছের বাজারও। তবে ডিমের দাম কমে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। কমেছে ব্রয়লার মুরগির দামও।
এদিকে, রাজশাহীর বাজারে কিছুটা স্বস্তি। ডিমের দাম হালিতে ৭ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৭ টাকায়। দুই দিন আগে ব্রয়লার মুরগি ২শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা ১৬০ টাকা। একই পরিস্থিতি বগুড়ায়ও। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা কমায় কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম।
সিলেটে পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম কেজিতে ৫ টাকা করে বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে সবজির দামও।
খুলনার বাজারে সব ধরনের চাল কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে। একই অবস্থা বাগেরহাট, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, মাদারীপুর, লক্ষ্মীপুরসহ বেশির ভাগ জেলায়। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে মসলার দামও। যে যেভাবে পারছেন দাম হাকাচ্ছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
নিত্যপণ্যের অস্বাভাকি দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে সরকারের কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।